গত বছর সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখ লন্ডনের নিউ ক্যাসেল শহরে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন ২৯ বছর বয়সি ব্রিটিশ যুবক টোনি কাওয়ান। গতির ভারসাম্য রাখতে না পারায় হঠাত্ই বাম্পারে সজোরে ধাক্কা খায় কাওয়ানের গাড়ি। এরপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি আছড়ে পড়ে টেলিফোনের একটি খুঁটির ওপর। এই মারাত্মক দুর্ঘটনার পর কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল টোনির হৃদস্পন্দন। ঘাড়ের হাড় ভেঙে ধড় থেকে মাথাটা কাত হয়ে পড়ে গিয়েছিল পাশে। ওই অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর ডাক্তারদের তত্বাবধানে ফিরে আসে হৃদস্পন্দন। এরপর শুরু হয় বিরল অপারেশন।
টোনির মা জানিয়েছেন, ‘টোনির অবস্থা দেখে চিকিত্সকরা প্রথমে জানিয়েই দিয়েছিলেন, ওকে বাঁচানো সম্ভব নয়। কিন্তু এরপরই তারা এমন এক অপারেশন করলেন যা তারা আগে নাকি কখনও করেননি। আমি আমার ছেলেকে ফিরে পেলাম।’
চিকিত্সকরা বলছেন, দুর্ঘটনায় টোনির মস্তিষ্কে কোনো আঘাত লাগেনি। তার ঘাড়ের হাড় ভেঙে মাথাটা ঘাড় থেকে আলগা হয়ে গিয়েছিল। টিস্যু ও পেশির সাহায্যে প্লেট বসিয়ে ধড় ও মাথা জোড়া লাগানো হয়েছে। খুব শিগগিরই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন টোনি।
Post a Comment